বিডিনিউজ ১০ রিপোর্ট: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার চেষ্টা দ্বিতীয়বারের মতো ব্যর্থতা হওয়ার পর মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার নতুন প্রস্তাব দিয়েছে চীন। এবারের প্রস্তাবেও দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকার কথা জানিয়েছে দেশটি।
প্রত্যাবাসন না হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় বুধবার নোট ভারবালের মাধ্যমে নতুন প্রস্তাব পাঠিয়েছে চীন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের আবারও আলোচনা শুরু করার এই প্রস্তাবে চীনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক করার কথা বলা হয়েছে। ত্রিপাক্ষিক এই বৈঠকের আয়োজক হতে চায় চীন। বাংলাদেশ রাজি থাকলে এই বৈঠক আয়োজন করা হবে।
তাদের এই প্রস্তাবটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। নোট ভারবালে সবধরনের প্রস্তুতি থাকার পরও প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়া ‘দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেছে চীন। দেশটি আরও জানায়, তারা বরাবরই প্রত্যাবাসনের পক্ষে। বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে আলোচনায় যুক্ত রয়েছে চীন।
এদিকে যেদিন প্রস্তাবটি এসেছে সেদিনই ঢাকায় চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। সময় নষ্ট না করে নতুন রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবন থেকে সোজা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আজ (বৃহস্পতিবার) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও প্রথমবারের মতো বৈঠকের কথা রয়েছে তার।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সেনা নির্যাতন থেকে বাঁচতে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বিরাট সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। এই সংকট নিরসনে গত দুই বছরে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ পর্যন্ত তিন দফা বৈঠক হয়েছে। সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও রোহিঙ্গাদের অনিচ্ছায় তা ব্যর্থ হয়।